হাবুর বিপদ গল্পের প্রশ্ন উত্তর | Class 6 Bengali Habur Bipod Question Answer
ক্লাস ৬ হাবুর বিপদ গল্পের সমস্ত প্রশ্ন উত্তর
🔹📘 ২০টি MCQ প্রশ্ন
১. ‘হাবুর বিপদ’ গল্পের লেখক কে?
ক) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
খ) অজেয় রায় ✅
গ) সেলিনা হোসেন
ঘ) সত্যজিৎ রায়
২. অজেয় রায় কোন ধরণের গল্প লিখতেন?
ক) রূপকথা
খ) বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি ✅
গ) ভৌতিক গল্প
ঘ) রোমান্টিক গল্প
৩. হাবু কোন বেঞ্চে বসেছিল?
ক) প্রথম
খ) দ্বিতীয়
গ) তৃতীয় ✅
ঘ) শেষ
৪. হাবুর পাশে বসেছিল কে?
ক) প্রফুল্ল
খ) তিনকড়ি ✅
গ) প্রশান্ত
ঘ) নিতাই
৫. প্রফুল্ল দে সরকারের লেখা থেকে কে নকল করেছিল?
ক) নিতাই
খ) প্রফুল্ল ✅
গ) প্রশান্ত
ঘ) হাবু
৬. নিতাই কী অজুহাত দেখিয়েছিল?
ক) বাবার অসুস্থতা
খ) বই হারানো
গ) মায়ের অসুস্থতা ✅
ঘ) খাতা হারানো
৭. প্রফুল্লকে কেন থামিয়ে দিলেন সুধীরবাবু?
ক) সে অসুস্থ ছিল
খ) সে দুষ্টুমি করছিল
গ) সে নকল করেছিল ✅
ঘ) সে দেরি করেছিল
৮. হাবু আসলে রচনা লিখেছিল কি?
ক) হ্যাঁ
খ) না ✅
গ) অর্ধেক লিখেছিল
ঘ) বন্ধুর থেকে কপি করেছিল
৯. সুধীরবাবু কোন স্বভাবের জন্য খ্যাত ছিলেন?
ক) উদাসীন
খ) রাগী
গ) কঠোর ও ন্যায়পরায়ণ ✅
ঘ) হাসিখুশি
১০. হাবু খাতা জমা দিল না কেন?
ক) খাতা হারিয়েছিল
খ) খাতায় কিছু লিখেনি ✅
গ) অসুস্থ ছিল
ঘ) সময় পায়নি
১১. সুধীরবাবুর কপালের ভাঁজ কী বোঝাত?
ক) আনন্দ
খ) অসন্তোষ ✅
গ) ভয়
ঘ) প্রশান্তি
১২. তিনকড়ি হাবুর খাতার দিকে তাকাল কেন?
ক) খাতা নতুন ছিল
খ) হাবু খাতা না লিখেও পড়ছিল ✅
গ) খাতা ছিঁড়ে গিয়েছিল
ঘ) খাতা নোংরা ছিল
১৩. হাবু রচনা বলার সময় কী করছিল?
ক) খাতা দেখছিল না ✅
খ) বন্ধুদের দিকে তাকাচ্ছিল
গ) শিক্ষককে দেখছিল না
ঘ) বই পড়ছিল
১৪. প্রশান্ত হাবুর লেখা সম্পর্কে কী মন্তব্য করেছিল?
ক) অসাধারণ
খ) আবোল-তাবোল ✅
গ) সেরা
ঘ) মাঝারি
১৫. হাবুর রচনা আসলে কেমন ছিল?
ক) মুখস্থ করা
খ) মৌলিক ✅
গ) নকল
ঘ) অসম্পূর্ণ
১৬. সুধীরবাবু কেন হাবুকে সঙ্গে সঙ্গে ‘সাবাশ’ বলেননি?
ক) হাবু দেরি করেছিল
খ) অন্যরা অনুকরণ করতে পারে ✅
গ) হাবু অসুস্থ ছিল
ঘ) খাতা হারিয়েছিল
১৭. হাবু কেন ভয় পাচ্ছিল?
ক) শিক্ষক রাগ করবেন ভেবে ✅
খ) খাতা হারাবে ভেবে
গ) বন্ধুরা হাসবে ভেবে
ঘ) স্কুল বন্ধ হবে ভেবে
১৮. সুধীরবাবুর কঠোরতার মধ্যেও কী ছিল?
ক) রাগ
খ) স্নেহ ✅
গ) ভয়
ঘ) উদাসীনতা
১৯. গল্পের মূল শিক্ষা কী?
ক) শাস্তি ভয়ঙ্কর
খ) নকল করলে ধরা পড়তে হয়
গ) সত্যবাদিতা ও মৌলিকতার মূল্য ✅
ঘ) খাতা হারানো বড় অপরাধ
২০. হাবুর আসল বিপদ কী ছিল?
ক) খাতা হারানো
খ) রচনা না লেখা ✅
গ) অসুস্থ হওয়া
ঘ) নকল ধরা পড়া
🔹📘 ২০টি Short Questions
প্রশ্ন ১. লেখক অজেয় রায় কোথায় বাস করতেন?
👉 উত্তর: শান্তিনিকেতনে।
প্রশ্ন ২. তিনি কোন কোন পত্রিকায় লিখতেন?
👉 উত্তর: সন্দেশ, কিশোর ভারতী, শুকতারা।
প্রশ্ন ৩. হাবু স্কুল গেটে দাঁড়িয়ে কী ভাবছিল?
👉 উত্তর: স্কুলে না ঢুকে বাড়ি ফিরে যাবে।
প্রশ্ন ৪. হাবু কোন বেঞ্চে বসেছিল?
👉 উত্তর: তৃতীয় বেঞ্চে।
প্রশ্ন ৫. হাবুর পাশে কে বসেছিল?
👉 উত্তর: তিনকড়ি।
প্রশ্ন ৬. প্রফুল্ল কীভাবে রচনা লিখেছিল?
👉 উত্তর: দে সরকারের বই থেকে হুবহু নকল করেছিল।
প্রশ্ন ৭. নিতাই কী অজুহাত দেখিয়েছিল?
👉 উত্তর: মায়ের অসুস্থতা।
প্রশ্ন ৮. সুধীরবাবু কেন নিতাইকে শাস্তি দিলেন?
👉 উত্তর: সে মিথ্যা অজুহাত দেখিয়েছিল বলে।
প্রশ্ন ৯. সুধীরবাবুর কপালের ভাঁজের মানে কী?
👉 উত্তর: অসন্তোষ।
প্রশ্ন ১০. তিনকড়ি কেন হাবুর খাতার দিকে তাকিয়েছিল?
👉 উত্তর: কারণ হাবু খাতায় কিছু না লিখেও পড়ছিল।
প্রশ্ন ১১. হাবু রচনা বলার সময় খাতা উলটাচ্ছিল কেন?
👉 উত্তর: খাতা লিখেছে এমন ভান করার জন্য।
প্রশ্ন ১২. প্রশান্ত হাবুর রচনা নিয়ে কী বলেছিল?
👉 উত্তর: আবোল-তাবোল।
প্রশ্ন ১৩. হাবুর রচনা আসলে কেমন ছিল?
👉 উত্তর: মৌলিক ও নিজের অভিজ্ঞতাভিত্তিক।
প্রশ্ন ১৪. সুধীরবাবুর শিক্ষাদানের পদ্ধতি কেমন ছিল?
👉 উত্তর: কয়েকজনকে রচনা পড়তে বলতেন, যাতে সবাই শিখতে পারে।
প্রশ্ন ১৫. সুধীরবাবুর কোন অন্যায় ক্ষমা করার মতো নয়?
👉 উত্তর: পড়াশোনায় অবহেলা।
প্রশ্ন ১৬. হাবু কেন খাতা জমা দিতে চায়নি?
👉 উত্তর: কারণ তাতে রচনা লেখা ছিল না।
প্রশ্ন ১৭. হাবুর রচনা শোনার পর সুধীরবাবুর মনে কী হলো?
👉 উত্তর: ছেলেটা চর্চা করলে ভালো লেখক হতে পারবে।
প্রশ্ন ১৮. গল্পের আসল শিক্ষা কী?
👉 উত্তর: নকল নয়, মৌলিক চিন্তা ও সত্যবাদিতার মূল্য।
প্রশ্ন ১৯. সুধীরবাবুর কঠোরতার আড়ালে কী লুকিয়ে ছিল?
👉 উত্তর: শিক্ষার্থীদের প্রতি স্নেহ ও দায়িত্ব।
প্রশ্ন ২০. ‘হাবুর বিপদ’ গল্পের নামকরণ কেন যথাযথ?
👉 উত্তর: কারণ হাবুর আসল বিপদ ছিল রচনা না লেখা, যা তাকে ভীষণ ভয় পাইয়ে দিয়েছিল।
১ .অজেয় রায়ের লেখা জনপ্রিয় বইয়ের নাম কী?
উত্তর: ‘আমাজনের গহনে’
.২ তিনি কোন কোন পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন?
উত্তর: সন্দেশ, কিশোর ভারতী, শুকতারা
📘বাক্যে উত্তর (Short Answer)
২.১ প্রফুল্লের রচনা কেন সুধীরবাবুর পছন্দ হয়নি?
উত্তর: কারণ প্রফুল্ল দে সরকারের রচনার বই থেকে হুবহু প্রতিলিপি করেছে।
২.২ নিতাই কেন শাস্তি পেল?
উত্তর: সে মায়ের অসুস্থতা মিথ্যা বলে অজুহাত দেখিয়েছিল।
২.৩ সুধীরবাবু কোন অন্যায় ক্ষমা করেন না?
উত্তর: ক্লাসে অবহেলা করা বা পড়াশোনা না করে আসা তিনি ক্ষমা করেন না।
২.৪ সুধীরবাবুর কপালে ভাঁজ কী সন্তুষ্টির চিহ্ন?
উত্তর: না, এটি অসন্তোষ বা সন্তুষ্টি না হওয়ার প্রতীক।
📘কয়েক বাক্যে উত্তর (Moderate Answer)
৩.১ তিনকড়ি কেন হাবুর খাতার দিকে তাকিয়েছিল?
উত্তর: কারণ হাবু খাতায় লেখা না থাকলেও পাঠ ভান করছিল — তাই তিনকড়ি বিস্ময়ে তাকায়।
৩.২ ‘ছেলেটা চর্চা রাখলে…’ কথাটি কেন হাবুর জন্য বলা হলো?
উত্তর: কারণ হাবু নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মৌলিকভাবে রচনা বলেছিল, যা ভবিষ্যতে সাহিত্যিক হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
৩.৩ ‘মাঝে মাঝে পাতা উলটিয়ে…’ এর কারণ?
উত্তর: হাবু যেন খাতায় রচনা লেখা মনে করাতে পাতা উলটাত—বাস্তবে লেখা ছিল না, তাই তেমন ছল।
৩.৪ ‘বেমালুম ঠকাল আমাকে’— আসল ঘটনা কী?
উত্তর: হাবু লিখে না নিয়ে শুধু মুখে রচনা বলেছিলো—এটিই তাঁর “ঠকানো” নয়, বরং তার ভীতিকর শ্রদ্ধা প্রকাশ।
৩.৫ সুধীরবাবু কেন “সাবাস” বলতে পারেননি?
উত্তর: কারণ প্রোমোশন করলে অন্যরাও অবহেলা করে অনুকরণ করবে, যা শৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
৪. শব্দ থেকে উপসর্গ আলাদা করে নতুন শব্দ:
· প্রশান্ত → উপসর্গ 'প্র' → প্রচণ্ড
· অবহেলা → ‘অব’ → অবনমন
· দুর্ভোগ → ‘দু’ → দুর্দিন
· অনাবৃষ্টি → ‘অনা’ → অনাড়ম্বর
· বেমালুম → ‘বে’ → বেইমান
৫. ‘পাল্লা’ শব্দের দুই উত্তরে বাক্য:
· পাল্লা (ম্যাচ): “খেলায় পাল্লা দিয়ে দু’দল খেলেছে।”
· পাল্লা (দরজা): “দরজার পাল্লা খুলে দাও।”
৯. অনুসর্গ ও বিভক্তি চিহ্নিতকরণ:
· বাবার কাছ থেকে → ‘র’ বিভক্তি
· উঠানে → ‘এ’ বিভক্তি
· কয়েকজনকে → ‘কে’ বিভক্তি
· বই থেকে → ‘র’ বিভক্তি
📘নিজের ভাষায় উত্তর (Descriptive Answer)
১০.১ স্কুল গেটে দাঁড়িয়ে হাবুর কী মনে হচ্ছিল?
উত্তর: ওর তখন মনে হচ্ছিল, স্কুলে না ঢুকে আবার বাড়ি ফিরে যাওয়া ভালো হবে।
১০.২ ক্লাসে কী ছবি তার চোখে ধরা পড়েছিল?
উত্তর: সুধীরবাবুর গুরুতর ও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, মোটা চশমার আড়াল, স্কুল বাড়ির নীরবতা ও শিক্ষার্থীদের আদর্শ মঙ্গলদর্শন।
১০.৩ বেঞ্চে বসার সমস্যা ও অবস্থা:
উত্তর: সে জানত পিছনের বেঞ্চে বাড়তি নজর রাখা হয়, তাই সে থার্ড বেঞ্চের কোণে তিনকড়ির পাশে বসে পড়ল।
১০.৪ ‘এটাই সুধীরবাবুর মেথড’: কী ও যুক্তি?
উত্তর: তিনি কয়েকজনকে রচনা পড়তে বলেন যাতে অন্যরা শুনে, লেখার মান বুঝে, এবং প্রেরণা পায়।
১০.৫ প্রফুল্লকে থামানোর কারণ ও পরামর্শ:
উত্তর: কারণ প্রফুল্ল হুবহু নকল করেছিল; পরামর্শ– একাধিক বই পড়ে নিজে নতুনভাবে লিখে আনতে।
১০.৬ ‘মুদ্রাদোষ’ কী ও কখন প্রকাশ পেল?
উত্তর: ‘মনে থাকবে’ বলা—এটাই বলা নিতাইকে শাস্তির কথা মনে করিয়ে দেওয়া; প্রকাশ হলো যখন সে মায়ের অসুস্থতা বলে মিথ্যা করেছিল।
১০.৭ ‘তবেই রচনার…’ অর্থে কী বোঝানো?
উত্তর: শুধু বই থেকে কপি করলেই হবে না; নিজস্ব ভাব, ভাষা ও অভিজ্ঞতা ঢেলে রচনা দিলে তার সাহিত্যিক মূল্য আসবে।
১০.৮ ‘আবোল-তাবোল’: প্রশান্তর মত ও তোমার মত—কি একমত?
উত্তর: প্রশান্ত বলেছিল হাবুর কথা ‘আবোল-তাবোল’, কিন্তু আমি একমত নই—কারণ হাবুর বলা ছিল নিজের অভিজ্ঞতা ও ভাষায়, যা ‘আবোল-তাবোল’ নয়।
১০.৯ রহস্য কী ও কীভাবে পরিষ্কার হলো?
উত্তর: রহস্য ছিল কেন হাবু খাতা জমা দিতে না চাইল; পরিষ্কার হলো খাতা দেখেই—সে রচনা লিখেনি।
১০.১০ ‘এতটা বাড়াবাড়ি করা ঠিক হবে না’: কার মন ও চিন্তা? ঠিক কি?
উত্তর: সুধীরবাবুর মনে হয়েছিল—যদি তিনি স্রেফ শাবাশ বলতেন, অন্যরাও অনুকরণ করত; তাই ঠিক হয় নি।
১০.১১ শুধীরবাবুর আচরণে হাবুর দায় কতটুকু?
উত্তর: হাবু ভয়ের কারণে স্বীকার করতেই পারেনি; কিন্তু সিধীরবাবুও যথেষ্ট নরম পরিস্থিতি তৈরি করেন নি—দায় দু’জনেরই।
১০.১২ সুধীরবাবুর কঠোরতার সঙ্গে স্নেহ প্রচ্ছন্ন থাকার আলোচনা:
উত্তর: কঠোর কিন্তু নীতিপুর, আদর্শবান, যিনি অনুচিত কাজে শাস্তি দেন, তবুও হাবুর প্রকৃত হৃদয়ভরা বল শুনে দোষ না দিয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করেন—এটাই তার ন্যায়প্রবণ, স্নেহপ্রবণ চরিত্র।
📘 হাবুর বিপদ – Long Question Answer
প্রশ্ন ১. ‘হাবুর বিপদ’ গল্পের মূল কাহিনি নিজের ভাষায় লিখো।
👉 উত্তর: গল্পে হাবু নামের এক ছাত্রের কথা বলা হয়েছে, যে খাতায় রচনা লিখে আনেনি। স্কুলে ঢোকার সময় সে ভয় পাচ্ছিল সুধীরবাবুর কাছে ধরা পড়বে বলে। প্রফুল্ল দে সরকারের বই থেকে নকল করেছিল, তাই তাকে ধরা হলো। নিতাই মিথ্যা অজুহাত দিল, সেও শাস্তি পেল। হাবু খাতা জমা দিল না, তবু রচনা বলার সময় মৌলিকভাবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে রচনা বলল। এতে শিক্ষক অবাক হলেও বুঝলেন হাবু প্রতিভাবান, তবে তাকে সঙ্গে সঙ্গে পুরস্কার দেননি, কারণ অন্যরা ভুল পথে যেতে পারে। এভাবেই হাবুর বিপদের কাহিনি এক শিক্ষা দিয়ে শেষ হয়।
প্রশ্ন ২. সুধীরবাবুর চরিত্র কেমন ছিল? উদাহরণসহ আলোচনা করো।
👉 উত্তর: সুধীরবাবু ছিলেন কঠোর অথচ ন্যায়পরায়ণ শিক্ষক। তিনি পড়াশোনায় অবহেলা মোটেও ক্ষমা করতেন না। প্রফুল্ল নকল করলে তাকে থামিয়ে দিলেন, নিতাই মিথ্যা অজুহাত দিলে তাকে শাস্তি দিলেন। কিন্তু হাবুর মৌলিক রচনা শুনে মুগ্ধ হলেন। যদিও ‘সাবাশ’ বললেন না, তবুও মনে মনে সন্তুষ্ট হলেন। তাঁর কঠোরতার আড়ালে ছিল শিক্ষার্থীদের প্রতি স্নেহ ও উন্নতির প্রত্যাশা।
প্রশ্ন ৩. প্রফুল্ল ও নিতাই কীভাবে ভুল করেছিল? সুধীরবাবুর প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
👉 উত্তর: প্রফুল্ল দে সরকারের বই থেকে হুবহু নকল করে রচনা লিখেছিল। সুধীরবাবু তা ধরে ফেলেন এবং নকল রচনা গ্রহণ করেননি। অন্যদিকে নিতাই অজুহাত দেখায় যে তার মা অসুস্থ ছিলেন, তাই সে রচনা লিখতে পারেনি। সুধীরবাবু জানতেন সে মিথ্যা বলছে, তাই তাকে শাস্তি দিলেন। এভাবে শিক্ষক নকল ও মিথ্যাচার দুটোই প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
প্রশ্ন ৪. তিনকড়ির দৃষ্টিতে হাবুর আচরণ কেমন লেগেছিল?
👉 উত্তর: তিনকড়ি অবাক হয়েছিল হাবুর আচরণে। কারণ হাবু খাতা জমা দেয়নি, অথচ রচনা বলার সময় খাতা উল্টাচ্ছিল যেন লিখেছে। আসলে খাতায় কিছু লেখা ছিল না। তবুও সে সাবলীলভাবে মৌলিক রচনা মুখে বলছিল। তিনকড়ি ভাবল, হাবু কীভাবে লিখে না নিয়েও এত সুন্দর রচনা বলতে পারল।
প্রশ্ন ৫. হাবুর মৌলিক রচনা শোনার পর সুধীরবাবুর মনে কী ভাবনা এসেছিল?
👉 উত্তর: হাবুর মৌলিক রচনা শুনে সুধীরবাবু মনে মনে সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। তাঁর মনে হলো, ছেলেটি যদি নিয়মিত চর্চা করে, তবে একদিন ভালো লেখক হতে পারবে। তিনি ভেবেছিলেন, এই প্রতিভা উৎসাহ দেওয়া উচিত, তবে খাতা না লিখে আসা সমর্থন করা যাবে না। তাই তিনি মুখে প্রশংসা না করে মনে মনে গর্ব অনুভব করেছিলেন।
প্রশ্ন ৬. হাবু খাতা জমা দিল না কেন? এ নিয়ে গল্পে কী ঘটেছিল?
👉 উত্তর: হাবু খাতায় কিছুই লিখে আনেনি, তাই সে খাতা জমা দিতে চায়নি। যখন রচনা পড়ার জন্য বলা হলো, তখন সে খাতা জমা না দিয়ে মুখে মৌলিকভাবে রচনা বলতে শুরু করে। শিক্ষক প্রথমে সন্দেহ করলেও পরে বুঝলেন হাবু নিজের অভিজ্ঞতা থেকে সত্যিই মৌলিক রচনা বলছে। এতে শিক্ষক আশ্চর্য ও আনন্দিত হয়েছিলেন।
প্রশ্ন ৭. গল্প থেকে আমরা শিক্ষকদের শিক্ষাদান পদ্ধতি সম্পর্কে কী জানতে পারি?
👉 উত্তর: গল্প থেকে জানা যায়, ভালো শিক্ষকরা কখনো নকল বা মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেন না। সুধীরবাবু প্রতিটি ছাত্রকে রচনা পড়তে বলতেন, যাতে সবাই শিক্ষা নিতে পারে। তিনি নকল ধরা পড়লে শাস্তি দেন, আবার মৌলিক প্রতিভা আবিষ্কার করলে মনে মনে প্রশংসা করেন। তাঁর শিক্ষাদান পদ্ধতি ছিল কঠোর কিন্তু শিক্ষার্থীদের উন্নতির জন্য সহায়ক।
প্রশ্ন ৮. প্রশান্ত কেন হাবুর রচনাকে ‘আবোল-তাবোল’ বলেছিল? তুমি কি একমত? কারণ দাও।
👉 উত্তর: প্রশান্ত মনে করেছিল হাবু যেহেতু খাতা জমা দেয়নি, তাই মুখে যা বলছে তা ‘আবোল-তাবোল’। কিন্তু বাস্তবে হাবু নিজের অভিজ্ঞতা থেকে মৌলিকভাবে রচনা বলেছিল। তাই প্রশান্তের মতামতের সঙ্গে একমত হওয়া যায় না। হাবুর রচনা মৌলিক ছিল এবং তার প্রতিভার পরিচয় বহন করেছিল।
প্রশ্ন ৯. ‘হাবুর বিপদ’ গল্পের শিক্ষা কী? তোমার মতামত লেখো।
👉 উত্তর: গল্পের শিক্ষা হলো— মিথ্যা ও নকল কোনোদিন সফলতা আনে না। মৌলিক চিন্তাধারা ও সত্যবাদিতা সবসময় মূল্যবান। হাবু খাতা লিখে আনেনি, কিন্তু নিজের প্রতিভা দিয়ে মৌলিক রচনা বলেছিল। এতে প্রমাণিত হয় যে কেবল সত্য ও পরিশ্রমের মাধ্যমেই উন্নতি সম্ভব।
প্রশ্ন ১০. গল্পের শিরোনাম ‘হাবুর বিপদ’ কেন যথাযথ? যুক্তি দিয়ে বোঝাও।
👉 উত্তর: গল্পে হাবুর আসল বিপদ ছিল সে খাতায় রচনা লিখে আনেনি। স্কুলে ঢোকার সময় থেকেই সে ভয় পাচ্ছিল। ক্লাসে শিক্ষক যখন রচনা পড়তে বললেন, তখন বিপদ আরও বেড়ে গেল। কিন্তু নিজের প্রতিভা দিয়ে সে পরিস্থিতি সামলে নিল। তাই গল্পে হাবুর জন্য ঘটে যাওয়া ঘটনাই মূল কাহিনি। এজন্য শিরোনাম ‘হাবুর বিপদ’ একেবারেই যথাযথ।

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url