ধরাতল কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Class 6 Bengali Dharatal Poem question Answer

ধরাতল কবিতার   প্রশ্ন উত্তর | Class 6 Bengali Dharatal Poem question Answer


১ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।

. কবি রবীন্দ্রনাথের লেখা একটি গীতিনাট্যের নাম লেখো।

উত্তর: কবি রবীন্দ্রনাথের লেখা একটি গীতিনাট্যের নাম মায়ার খেলা (১৮৮৮)

. তোমাদের পাঠ্য কবিতাটি তাঁর কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া?

উত্তর: আমাদের পাঠ্য কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা চৈতালি কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত।

[২] নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও।

. কবির মনে আজ কী ভাবনা এসেছে?

উত্তর: ছোটো ছোটো গীত ও কথা আজ কবির ভাবনায় এসেছে।

. যেতে যেতে নদীতীরে কবির চোখে কোন্ দৃশ্য ধরা পড়েছে?

উত্তর: যেতে যেতে নদীতীরে শ্যামল পৃথিবীর অপরূপ শোভা কবির চোখে ধরা পড়েছে।

. সবাই প্রতি মুহূর্তে কী কথা বলছে।

উত্তর: সবাই প্রতি মুহূর্তে বলছে, যাই যাই ।

. যা কিছু দেখেন তাকেই কবি ভালোবাসেন কেন?

উত্তর: কবি কল্পনায় যা-কিছু দেখছেন সেসব বেশিক্ষণ স্থায়ী নয়। মুহূর্তে এসে মুহূর্তেই তারা মিলিয়ে যায়। সেই কারণে কবি যতটুকু সময় পাচ্ছেন, সেই সময়ের মধ্যেই দৃশ্যগুলির সৌন্দর্য ভালোবেসে উপভোগ করছেন।

. কবি কাদের ভাইবোনের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

উত্তর: কবি সুখদুঃখকে ভাইবোনের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

. গ্রামগুলি দেখে কবির কী মনে হয়েছে?

উত্তর: গ্রামগুলি দেখে কবির মনে হয়েছে অনেক প্রেম, ভালোবাসা যেন তাদের ঘিরে রয়েছে।

. পৃথিবীর দিকে তাকালে কবির কী মনে হয়?

উত্তর: পৃথিবীর দিকে তাকালে কবির মনে হয় সুখদুঃখ, অন্ধকার-আলো মিলিয়ে এই ধরিত্রীই ভালো।

[৩] নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণ এবং বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো।

শ্যামল, দুঃখ, সুখ, করুণ, ছায়াময়, গ্রাম, উৎসুখ, আলো

 

উত্তর: শ্যামলিমা (বিশেষ্য) শ্যামল (বিশেষণ) দুঃখ (বিশেষ্য.) -দুঃখী (বিশেষণ.) সুখ (বিশেষ্য) সুখী (বিশেষণ.) কারুণ্য (বিশেষ্য.) করুণ (বিশেষণ) ছায়াময়তা (বিশেষ্য.) ছায়াময় (বিশেষণ) গ্রাম (বিশেষ্য.) গ্রাম্য (বিশেষণ) ঔৎসুক্য (বিশেষ্য) উৎসুক (বিশেষণ আলো (বিশেষ্য.) আলোকিত (বিশেষণ)

৪ শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ নিয়ে শূন্যস্থানে বসাও:

বেয়ে, প্রাণ, আমার, হেরি

দেখি >  হেরি

বাহিয়া > বেয়ে

মোর > আমার

পরান > প্রাণ

 

৫ দুটি বিপরীতার্থক শব্দ যুক্ত হয়ে একটি শব্দে পরিণত হওয়া শব্দগুলি কবিতা থেকে খুঁজে বের করো। ওই শব্দগুলি দিয়ে একটি করে বাক্য লেখো।

উত্তর: ভালোমন্দ, দুঃখসুখ, অন্ধকার-আলো

ভালোমন্দ: ভালোমন্দ বিচার না করে কাজ করা ঠিক নয়।

দুঃখসুখ: এতদিন পরে দুই বন্ধু মিলে বসে দুঃখসুখের গল্প করছে।

অন্ধকার-আলো: রোদ আর ছায়ায় মিলে অন্ধকার আলোর খেলা ভারী ভালো লাগছে।

 

৬ নীচের বাক্যগুলির রেখাঙ্কিত অংশে কোন্ বচনের ব্যবহার হয়েছে লেখো।

 

. চোখে পড়ে যাহা কিছু হেরি চারিপাশে।

উত্তর: বহুবচন

. কূলে কূলে দেখা যায় শ্যামল ধরণী।

উত্তর: বহুবচন

. ক্ষণকাল দেখি বলে দেখি ভালোবেসে'

উত্তর: একবচন

. সবই বলে, 'যাই যাই' নিমেষে নিমেষে।

উত্তর: বহুবচন

. যবে চেয়ে চেয়ে দেখি উৎসুক নয়ানে।

উত্তর: বহুবচন

 

৭ নীচের কবিতাংশটি ভেঙে পৃথক পৃথক বাক্যে লেখো।

 

যবে চেয়ে চেয়ে দেখি উৎসুক নয়নে আমার পরান হতে ধরার পরানে-ভালোমন্দ দুঃখসুখ অন্ধকার-আলো মনে হয়, সব নিয়ে ধরণী ভালো।

 

উত্তর: ক) যবে চেয়ে চেয়ে দেখি উৎসুক নয়নে- যখন তাকিয়ে তাকিয়ে উৎসুক চোখে দেখি।

 

)আমার পরান হতে ধরার পরানে- আমার প্রাণ থেকে পৃথিবীর প্রাণে।

 

গ) ভালোমন্দ দুঃখসুখ অন্ধকার-আলো -ভালো-মন্দ দুঃখসুখ অন্ধকার-আলো।

 

ঘ) মনে হয়, সব নিয়ে ধরণী ভালো- মনে হয় সব নিয়ে এই পৃথিবী ভালো।

 

৮ নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো।

 

 

. "আমি যেন চলিয়াছি বাহিয়া ধরণী" এখানে 'যেন' শব্দটি কেন ব্যবহার করা হয়েছে লেখো।

 

উত্তর: আমরা আমাদের 'মনে হওয়া' বোঝাতে 'যেন' শব্দটি ব্যবহার করি। যখন বলি, 'রাহুল যেন ঋকের মতো দেখতে' তখন আমরা এটা বিশ্বাস করে বা জেনে কথাটা বলি যে রাহুল আর ঋক হুবহু এক দেখতে নয়। অর্থাৎ, 'যেন' একটি তুলনাবাচক শব্দ। দুটি বিষয় বা বস্তুর মধ্যে তুলনা করতে আমরা 'যেন' শব্দটি ব্যবহার করি।

এখানে কবি বলেছেন, 'আমি যেন চলিয়াছি বাহিয়া তরণী' তিনি সত্যিকারের নৌকা বেয়ে চলছেন না, কিন্তু কল্পনায় তাঁর মনে হচ্ছে তিনি নৌকো বাইছেন। এই ভাবকে ফুটিয়ে তুলতেই কবি 'যেন' শব্দটি প্রয়োগ করেছেন।

 

. কবির কল্পনার নৌকাযাত্রায় কী কী দৃশ্য তিনি

উত্তর: কবি কল্পনার নৌযাত্রায় নদীর কূলে কূলে সবুজ পৃথিবীর সৌন্দর্য দেখেছেন। গ্রামবাংলার প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্যগুলি যদিও বেশিক্ষণ ধরে তিনি দেখতে পাননি, যেহেতু তিনি নৌকা বাইছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও স্বল্প সময়ে যতটুকু দেখেছেন, সেটুকু প্রাণ ভরে উপভোগ করেছেন।

 

. সুখদুঃখকে কবির ভাইবোন মনে হয়েছে কেন?

উত্তর: সুখ দুঃখ মিলিয়েই আমাদের জীবন। দুইয়ের কোনো একটি চিরস্থায়ী থাকে না। সুখের পর দুঃখ, তারপর সুখ-এভাবেই চলতে থাকে জগৎ জীবন। তারা যেন একে অন্যের পাশাপাশি, হাত ধরে চলে। ভাইবোনের মধ্যে যেমন নিবিড় সম্পর্ক, ঠিক তেমনি সুখ দুঃখ পরস্পর গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। এই কারণেই কবি সুখদুঃখকে ভাইবোনের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

 

. "মনে হয় সব নিয়ে ধরণী ভালো"- কখন পৃথিবীকে ভালো মনে হয়? এরকম মনে হওয়ার কারণ কী?

উত্তর: পৃথিবীর দিকে কবি উৎসুক চোখে তাকালে তাঁর মনে হয় ভালোমন্দে মেশানো এই ধরণিই ভালো।

হাসিকান্না, সুখদুঃখ জীবনের অঙ্গ। এদের কোনো একটিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা অনুচিত। কারণ, সুখ আছে বলেই আমরা দুঃখের তাৎপর্য অনুভব করতে পারি; অন্ধকারের ফলেই আলোর গুরুত্ব স্পষ্ট হয়। সবকিছু মিলিয়েই জীবনের স্পন্দন অনুভব করা যায়। কবি রবীন্দ্রনাথ চিরকাল জীবনের জয়গান গেয়েছেন। এই কারণেই তাঁর চোখে পৃথিবী সবার থেকে ভালো।

. ট্রেনে, নৌকোয় বা দূরপাল্লার বাসে করে যেতে যেতে পথের দু-ধারে যা দেখেছ তার বর্ণনা দিয়ে একটি অনুচ্ছেদ লেখো।

উত্তর: গত বছর করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চড়ে চেন্নাই যাচ্ছিলাম। সঙ্গে ছিল বাবা, মা দাদা। ট্রেনে উঠেই আমি জানালার ধারে বসবার জায়গা করে নিই। ট্রেন চলতে শুরু করামাত্র স্টেশনের চারপাশের মানুষদের ছেড়ে যেতে থাকি। আস্তে আস্তে ট্রেনের গতি বাড়ে। মনে হয়, সবকিছুই যেন অতি দ্রুত উলটো দিকে ছুটছে। পানাপুকুর, বাড়িঘর, গাছপালার সারি ছুটন্ত ছবির মতো বয়ে চলে। হাওয়ার ঝাপটায় চুল উড়তে থাকে। বকের সারি, মাঠে কাজ করতে থাকা কৃষক, চলমান জনতা, ব্যস্ত বাজার গ্রাম শহরের অনেক টুকরো জীবনের মুহূর্ত তখন চোখে পড়েছিল।

সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো

. কবি কল্পনায় কীসে চড়ে যাচ্ছেন?

Ø জাহাজ

Ø ভেলা

Ø নৌকা

Ø বোট

. দুঃখ আর সুখকে কাদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

Ø ভাইবোন

Ø বাবা-মা

Ø বন্ধু

Ø সঙ্গী

. কাকে প্রেম ঘিরে আছে?

Ø শহর

Ø গ্রাম

Ø নদী

Ø মাঠ

. সব নিয়ে কী ভালো?

Ø গ্রাম

Ø নদী

Ø ধরণী

Ø নৌকা

২। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।

. "মোর মুখপানে চায় করুণ নয়নে"- কার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: সুখদুঃখরূপী ভাইবোনের কথা এখানে বলা হয়েছে।

. গ্রামগুলি কী দিয়ে ঘেরা?

উত্তর: গ্রামগুলি প্রেম-ভালোবাসা দিয়ে ঘেরা।

. কবি কী বেয়ে চলেছেন বলে কল্পনা করেন?

উত্তর: কবি নৌকো বেয়ে চলেছেন বলে কল্পনা করেন

. কবি কী কী মনে করেন?

উত্তর: কবি ছোটো কথা, ছোটো গান মনে করেন।

. কূলে কূলে কী দেখা যায়?

উত্তর: কূলে কূলে দেখা যায় সবুজ পৃথিবী

. গ্রামগুলির প্রকৃতি কীরূপ?

উত্তর: গ্রামগুলি ছায়াময় প্রকৃতির।

৩ নীচের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:

. কবির কেন মনে হয়েছে যে গ্রামকে প্রেম ঘিরে আছে?

উত্তর: কবির মনে হয়েছে, আনন্দ আর বেদনা জীবনে হাত ধরাধরি করে থাকে। এই কবিতায় কবি সেই বোধেরই প্রকাশ ঘটিয়েছেন। তাঁর মনে হয়েছে মানবজীবন বড়ো সুন্দর। তার ছোঁয়ায় গ্রামগুলিও যেন প্রেম আর ভালোবাসায় মোড়া।

. নৌকাপথে যেতে যেতে কবি কী দেখেছিলেন?

উত্তর: কল্পনায় নৌকাপথে যেতে যেতে কবি শ্যামল, সুন্দর প্রকৃতিকে দেখেছিলেন। চোখের নিমেষে পেরিয়ে যাওয়া দু-পাশের গ্রাম তাঁর চোখে পড়েছিল। তাঁর মনে হচ্ছিল, দুঃখ আর সুখ যেন দুই ভাইবোনের মতো তীর থেকে তাঁর দিকে চেয়ে আছে।

৪ নীচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:

. "সবই বলে, 'যাই যাই' নিমেষে নিমেষে", উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কবি কল্পনার নৌযাত্রায় বেরিয়ে কূলে কূলে সর পৃথিবীর শোভা দেখছিলেন। নদীর তীরে ছেয়ে রয়েছ গ্রামবাংলার শ্যামল প্রকৃতি। কবি সে সবকিছু দেখে মুগ্ধ তিনি চাইছিলেন সেই সৌন্দর্য বহুক্ষণ ধরে উপভোগ করতে, কিন্তু যেহেতু তিনি কল্পনার নৌকোয় বসেছিলে সেই কারণে অনেকখানি সময় ধরে প্রকৃতির রূপ আস্বাদন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। কবির তাই মনে হচ্ছিল চারপাশের সমস্ত টুকরো টুকরো দৃশ্যগুলি যেন তাড়াতারি 'যাই যাই' বলে বিদায় নিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, দৃশ্যগুলি নয় তিনি নিজে এগিয়ে চলেছিলেন বলেই কবির এমনটা মনে হয়েছিল।

. "মনে ভাবি, কত প্রেম আছে তারে ঘিরে"- প্রেম কাকে, কীভাবে ঘিরে রয়েছে?

উত্তর: কবি নৌকো থেকে নদীর কূলের দিকে চেয়েছিলেন তাঁর চোখে পড়ছিল ছায়াঘেরা গ্রামগুলি। গ্রামের সরল,সুন্দর জীবনযাত্রা দেখে তিনি গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন সেখানকার মানুষদের পারস্পরিক প্রীতি ভালোবাস সম্পর্ক, পরস্পরের আপদে-বিপদে প্রত্যেকের পাশে  দাঁড়ানোর মনোভাব- সবকিছু তাঁর মনে পড়ছিল। কবি কল্পনা করেছিলেন গভীর প্রেমের বাঁধনে যেন গোটা গ্রাম আবদ্ধ।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url