কিশোর বিজ্ঞানী কবিতার প্রশ্ন উত্তর | Class 6 Bengali Kishor Bigyani Poem Question Answer






১ সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো:

. 'কিশোর বিজ্ঞানী' কবিতায় যে বিজ্ঞানীর নাম আছে, তিনি হলেন-

Ø  জগদীশচন্দ্র বসু

Ø  নিউটন

Ø  মেঘনাদ সাহা

. কিশোরটি ছুটি পেলে কোথায় যেত?

Ø  মাঠে

Ø  পাহাড়ে

Ø  সমুদ্রে

. কিশোরটি কী কুড়োত?

Ø  শামুক ঝিনুক

Ø  শাঁখ

Ø  মুক্তো

. 'কিশোর বিজ্ঞানী' কবিতাটি কার লেখা?

Ø  অন্নদাশঙ্কর রায়

Ø  শঙ্খ ঘোষ

Ø  অজেয় রায়

. প্রথম জীবনে ওড়িয়া ভাষায় সাহিত্য রচনা করেন-

Ø  অন্নদাশঙ্কর রায়

Ø  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Ø  দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

Ø  নবনীতা দেবসেন

. অন্নদা শংকর রায়ের ছদ্মনাম-

Ø  লীলা মজুমদার

Ø  লীলাময় রায়

Ø  লীলা দেশমুখ

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:

. 'কিশোর বিজ্ঞানী' কবিতাটি কার লেখা?

উত্তর: 'কিশোর বিজ্ঞানী' কবিতাটি কবি অন্নদাশংকর রায়ের লেখা।

. কিশোর বিজ্ঞানী সময় পেলেই কোথায় ছুটে যায়?

উত্তর: কিশোর বিজ্ঞানী সময় পেলেই সমুদ্রের তীরে ছুটে যায়।

 

. আঁধার হলেও সে কোথায় ফিরতে চায় না?

উত্তর: আঁধার হলেও কিশোর বিজ্ঞানীটি বাড়ি ফিরতে চায় না।

 

. ঝিনুকগুলির গায়ে কী আঁকা?

উত্তর: ঝিনুকগুলির গায়ে নকশা আঁকা।

. বড়ো হয়ে কিশোরটি কোথায় কিনুক কড়োয়?

উত্তর: বড়ো হয়ে কিশোরটি জ্ঞানের সাগরবেলায় ঝিনুক কুড়োয়।

. ছড়াতে কাকে 'পরম বিজ্ঞানী' বলা হয়েছে?

উত্তর: ছড়াতে নিউটনকে 'পরম বিজ্ঞানী' বলা হয়েছে।

. 'জ্ঞান'-কে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

উত্তর: কবি 'জ্ঞান'-কে 'রত্নভরা পুরী' সঙ্গে তুলনা করেছেন।

. কবি 'বিদ্যা'-কে কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

উত্তর: কবি 'বিদ্যা'-কে রত্নের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

. 'কিশোর বিজ্ঞানী' কবিতায় যে বিজ্ঞানীর নাম আছে, তাঁর নাম কী?

উত্তর: 'কিশোর বিজ্ঞানী' কবিতায় যে বিজ্ঞানীর নাম আছে তাঁর নাম স্যার আইজ্যাক নিউটন।

.১০ "বলে গেছেন যা নিউটন"-নিউটন কী বলে গেছেন?

উত্তর: নিউটন বলে গেছেন, জ্ঞান সমুদ্রের অন্ত নেই, তিনি তার তীরে কেবল কয়েক মুঠি নুড়ি কুড়োতে পেরেছেন।

.১১ দুজন প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম লেখো।

উত্তর: দুজন প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী হলেন মেঘনাদ সাহা, জগদীশচন্দ্র বসু।

 

[] নীচের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:

. অন্নদাশঙ্কর রায়ের লেখা কয়েকটি ছড়ার বইয়ের নাম লেখো।

উত্তর: অন্নদাশঙ্কর রায়ের লেখা কয়েকটি ছড়ার বই হল-রাঙা ধানের খই, ডালিম গাছে মৌ, আতা গাছে তোতা, হৈ রে বাবুই হৈ, রাঙা মাথায় চিরুনি, রাঙা ঘোড়ার সওয়ার, সাত ভাই চম্পা, শালি ধানের চিঁড়ে, যাদু তো বড়ো রঙ্গ প্রভৃতি।

. "বড়ো হয়ে ঝিনুক কুড়োয়/জ্ঞানের সাগরবেলায়।" -উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তর: "বড়ো হয়ে ঝিনুক কুড়োয়/জ্ঞানের সাগরবেলায়"

- উদ্ধৃতাংশের অর্থটি হল পরিণত বয়সে মানুষটি দেশ-বিদেশের জ্ঞান পরম যত্নে, মনোযোগ সহকারে চর্চা আয়ত্ত করেন। কিশোর বয়সে সমুদ্রের তীরে ঝিনুক কুড়োনোর অভ্যাসটি পরবর্তীকালে বিদ্যারূপ রত্ন আহরণের প্রবৃত্তিতে পরিণত হয়েছে



।৪ নীচের রচনাধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:

. "বাডি ফেরার নাম করে না"-কে, কেন বা ফেরার নাম করে না?

. উত্তর: কবি অন্নদাশঙ্কর রায়ের 'কিশোর বিজ্ঞানী'  থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে। ছড়ার কিশোর বিজ্ঞানীটি চারিদিক অন্ধকার হয়ে এলেও বাড়ি ফিরে আসে না

কাজ থেকে ছুটি পেলেই সে অন্যদের মতো খেলাধুলে না করে চলে যায় সমুদ্রের কূলে। সেখানে এদিক-ওদিব ঘুরে বেড়িয়ে কিশোরটি নানান নকশা আঁকা ঝিনুক সংগ্রহ করে বেড়ায়। এই কাজ করতে সে এতটাই মশগুল থারে যে, ভুলেই যায় বেলা কত হয়েছে। তাই অনেক সময় কিশোরটি রাতেও বাড়িতে ফেরে না।

. "ঝিনুক তো নয়, বিদ্যা রতন" কবি 'বিদ্যা'-কে 'রতন'-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন কেন?

উত্তর: কবি অন্নদাশঙ্কর রায়ের কিশোর বিজ্ঞানী ছড়া থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে। বিদ্যা, জ্ঞান আমাদের মনের অজ্ঞানতা দূর করে। অজ্ঞানতা মানেই অন্ধকার। তা আমাদের দৃষ্টি, আমাদের মানসিকতাকে অস্বচ্ছ করে রাখে। বিদ্যা মনকে, চিন্তাকে আলোকিত করে, অজ্ঞানতা নাশ করে। রত্নও একইভাবে আলোকময়, দীপ্তিময়। পাশাপাশি বিদ্যা রত্ন দুই- দুর্মূল্য সম্পদ, যাকে আমরা কখনোই হারাতে চাই না। এই কারণেই কবি 'বিদ্যা'-কে 'রতন'এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।

. কবিতাটির নাম 'কিশোর বিজ্ঞানী' হওয়ার পক্ষে কী যুক্তি হতে পারে, তা আলোচনা করো।

উত্তর: এই কবিতাটিতে যে কিশোরের কথা এখানে বলা হয়েছে তিনি বড়ো হয়ে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী হয়েছিলেন। মানুষ তার ছোটোবেলার অভ্যাস, পছন্দকে, নিয়েই বড়ো হয়। ছোটোবেলার শিক্ষা বড়ো মানুষ হতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানী নিউটনের নির্জন সাগরবেলায় একমনে রঙিন পাথর " কুড়োনোর অভ্যাস তাঁকে পরবর্তীকালে বড়ো হয়ে জ্ঞানবর আহরণে উদ্বুদ্ধ করেছে। তিনি বুঝেছিলেন, বিশাল সমুদ্রের মতোই জ্ঞানের ভাণ্ডারও অশেষ। তার মধ্যে থেকে কোনো একটি জ্ঞান বেছে নিলে জ্ঞান সম্পূর্ণ হয় না। কবিও তাই কিশোরটির বিজ্ঞানী হয়ে ওঠার সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে যুক্তিপূর্ণভাবে কবিতার নাম রেখেছেন 'কিশোর বিজ্ঞানী।

 

 

কবিতা থেকে বিপরীত শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো।

আলো, ছোটো, এখানে, তখন

*     আলো-আঁধার

*     ছোটো-বড়ো

*     এখানে-ওখানে

*     তখন-এখন

৪ প্রতিটি শব্দকে পৃথক অর্থে আলাদা বাক্যে প্রয়োগ করো।

সুধায়, পুরী, বেলা, হেলা, ভরা

 

*     সুধায় (জিজ্ঞাসা করে)-আমি রাস্তায় বেরোলে লোকজন সুধায়, "কেমন আছেন?"

*     সুধায় (অমৃতে)-বিষু তখন সুধায় ভরা পাত্রখানি হাতে তুলে নিলেন।

*     পুরী (ভবন) রূপকথার গল্পে অনেক মনোহর পুরীর কথা রয়েছে।

*     পুরী (পুরীধাম, তীর্থক্ষেত্র) পুজোর ছুটিতে আমরা পুরী বেড়াতে যাব।

*     বেলা (সমুদ্রতীর) সমুদ্রের বেলাভূমিতে অসংখ্য শিশুদের খেলতে দেখে মন ভালো হয়ে গেল।

*     বেলা (সময়) -বেলা বয়ে গেলেও কোনো কাজই `হেলা পড়তে এগোচ্ছে না।

*     হেলা' (অবহেলা)-হেলায় সময় নষ্ট না করে পড়তে বসো।

*     হেলা (ঝোঁক)-গ্রামের শেষমাথায় দাঁড়ানো বটগাছটি হেলানো অবস্থায় রয়েছে।

*     ভরা (পূর্ণ) বাক্সটি জামাকাপড়ে ভরা দেখে সে বাকি

*     ভরা (পূর্ণ করা) বালতিতে জল ভরা দ্রুত শেষ করো।

 

৫ আবিষ্কারের গল্পগুলির পাশে পাশে আবিষ্কারকের নাম উল্লেখ করো এবং তাঁদের সম্পর্কে আরও জানার চেষ্টা করো।

ঘড়ি, এরোপ্লেন, রেডিয়ো, দূরবিন, টেলিভিশন

o   ঘড়ি

o   পিটার হেনলি

o   ১৪৮৫ খ্রিস্টাব্দে জার্মানিতে জন্মান। ঘড়ি আবিষ্কারের পাশাপাশি তা সারাইয়ের কাজেও তিনি দক্ষ ছিলেন।

 

o   এরোপ্লেন

o   রাইট) রাইট ভ্রাতৃদ্বয় (অরভিল রাইট উইলবার

o   ১৯০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রথম উড়োজাহাজ তৈরি করেন। দু-বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁরা সেটিকে পরিণত রূপ দেন।

 

o   রেডিয়ো

o   গুলিয়েলমো মার্কনি

o   ১৮৭৪ সালের ২৫ এপ্রিল ইতালিতে জন্মান। রেডিয়ো সম্প্রচার পদ্ধতির ভিত্তি স্থাপনের জন্য ১৯০৯ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পান।

 

o   দূরবিন

o   গ্যালিলিয়ো গ্যালিলেই

o   ইতালীয় পদার্থবিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতজ্ঞ দার্শনিক। ১৬০৯ সালে তিনি দূরবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন।

 

o   টেলিভিশন

o   জন বেয়ার্ড

o   ১৮৮৮ সালের ১৩ আগস্ট স্কটল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বের প্রথম কার্যকরী ইলেক-ট্রোমেক্যানিক্যাল টেলিভিশন ইনি আবিষ্কার করেন।

 

ছুটি পেলে তোমার মন কী করতে চায় পাঁচটি বাক্যে লেখো।

উত্তর: ছুটি পেলে আমার ইচ্ছে করে কবিতা বা ছড়া লিখতে। নিজের খেয়াল আর কল্পনা মিশিয়ে এগুলো লিখে থাকি। ছড়া পড়তেও আমার ভালো লাগে। তাই অবসর সময়ে অন্নদাশঙ্কর রায় কিংবা সুকুমার রায়ের লেখা বেশি করে পড়ি। আর যখন এসবের কিছুই করতে ইচ্ছে করে না তখন আঁকার খাতা নিয়ে আঁকতে বসি।

 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url